মোঃ বশির আহাম্মেদ ঃবরিশালের বাকেরগঞ্জের ভরপাশা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে রাস্তার পাশ থেকে এক যুবকের গলায় গামছা বাঁধা রহস্যজনক লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১২ জুলাই বাবুল হাওলাদার এর পুত্র ইমরান হাওলাদার (২৫) নামের প্রতিবন্ধী ওই যুবক শনিবার দুপুরে বাসা থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ ছিলেন। ১২ জুন রোববার লাশটি সকালে স্থানীয় লোকজন আতাকাঠি গ্রামে সড়কে পাশে আম গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখে। পথচারীদের খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- আতাকাঠি গ্রামের বাবুল হাওলাদারের প্রতিবন্ধী ছেলে ইমরান হাওলাদারের গলায় গামছা বাঁধা লাশটি রোববার সকালে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের সড়কের পাশে আম গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এবং গামছার কিছুটা অংশ ওই গাছের ডালের সাথে ঝুলতে দেখে। বিষয়টি থানায় অবহিত করলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। এবং সুরতাহল শেষে যুবকের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- যুবক ইমরান শনিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী বিলে চাঁই ফেল মাছ ধরতে গামছা পরে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপরে তিনি আর বাসায় ফেরেনি এবং স্বজনেরা খোঁজ করে সন্ধায় পায়নি। এ বিষয়ে নিহতের বাবা বাবুল হাওলাদার প্রথম সকাল সংবাদমাধ্যমকে জানায়, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি ওকে খুন করা হয়েছে তবে কে বা কাহারা তাকে খুন করেছে এমনটা তিনি নিশ্চিত নয়। তবে তিনি ধারণা করেন বিগত সময়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের ছেলে রায়হান খেলার মাঠে বন্ধুদের হাতে খুন হলে সেই মামলায় তার বড় ছেলে রাজিব হাওলাদারকে জড়ানো হয়। এবং সেই ঘটনার বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল মুক্তিযোদ্ধার স্বজনেরা।
অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হাওলাদার জানান, বাবুল হাওলাদার এর মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মৃত্যুবরণ করেছে এই বিষয়টি তাদের অজানা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঘটনায় তাদেরকে ভাসানোর জন্য বাবুল হাওলাদার বিভিন্ন রকমের ফন্দি ফিকির করে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো জানান আমার একমাত্র ছেলে প্রকাশ্য দিবালোকে বাবুল হাওলাদারের ছেলে রাজিব সহ আরো কয়েকজন সহযোগী হত্যা করে ওই হত্যা মামলায় রাজিব এক নম্বর আসামি ওই মামলাটি ধামাচাপা দিতে এই ঘটনায় তাদেরকে জড়ানোর চেষ্টা করছে। মান্নান হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে অারো জানান আমি বুঝি সন্তান হারানোর ব্যথা আমার একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব এর উপরে এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে দিলে আমরা আমার ছেলে হত্যার সঠিক বিচার থেকে ছিটকে পরবো। তিনি শুধু তার ছেলে হত্যারই নয় ইমরান মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামিদের কে গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবী জানান।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের লাশটি যে অবস্থায় পাওয়া গেছে তাতে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। কারণ তার শরীরে যে গামছা পরিহিত ছিল সেই তার একাংশ গাছের সাথে ঝুলছে। মূলত এই কারণেই পুলিশ ধারণা করছে যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যাওয়ার পলে গামছা ছিড়ে মাটিতে পড়েছে।