স্টাফ রিপোর্টার ॥ কীতর্নখোলা নদী কড়াল গ্রাসে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের একাংশ। সেখানকার তালতলী লামছড়ি সড়কের মধ্যবর্তি চরবাড়িয়া জামে মসজিদের সম্মুখে গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে দেবে যায়। তাৎক্ষুনিক ৫টি বসতঘর সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি তীব্র ভাঙ্গনে সড়কসহ আশপাশের মসজিদ, ঘরবাড়ি হুমকির মুখি পড়েছে। প্রতিবছর এ এলাকায় এমন ভয়াবহ ভাঙ্গন সৃস্টি হলেও জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে ভুক্তোভগিরা অভিযোগ করেছেন।
ভাঙন কবলিত এলাকার রিপন হাওলাদার বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো বর্ষা মৌসুমে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় ভোররাতে ফকির বাড়ির লালু ফকিরের দুই ছেলে বেলাল ফকির, সরোয়ার ফকিরসহ ৫ জনের পাঁচটি বসতঘর কীর্তনখোলার গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় ঘরগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন আশপাশের বসতঘরগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ জলিল সরদার জানান, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ ও নদীর প্রবল স্রোতের কারণে হঠাৎ করে তালতলী-লামছড়ির সড়কটির চরবাড়িয়া জামে মসজিদের সামনে দেবে গেছে। ইউনিয়নটি দিনে দিনে ছোট হয়ে আসলেও কোন তৎপরতা নেই সংশ্লিষ্টদের।
এব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম বলেন, ভোর রাতে হঠাৎ করে সড়কটি দেবে যায়। আশপাশের বাড়িঘরে ফাটলের সৃস্টি হলে বেশ কয়েকটি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকা ভাঙ্গনের মুখে পড়লেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।