এম মনিরুজ্জামান হিরোন. বাউফল
করোনা পরিস্থিতিতে চরম হুমকির মুখে বাউফল উপজেলা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত (19 এপ্রিল) সন্ধ্যা 6টা থেকে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী জেলা লকডাউন ঘোষনা করলেও জেলার অন্যতম উপজেলা বাউফলে কোথাও লক ডাউন মানছেন না সাধারন মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহত্তম বানিজ্যিক বন্দর কালাইয়াতে সোমবার সকাল থেকে চলছে হাজারো মানুষের মিলন মেলা। চলছে হরদম বেচাকেনা, নেই শারিরীক দূরত্ব।
একই চিত্র উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে। বাউফল থানা কমপ্লেক্সের 2শ গজের ভিতরে খোলা রয়েছে কাপড়, জুতা র্হাডওয়্যার ও কসমেটিকসের দোকান। ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা গ্রাহকরা মানছেন না শারিরীক দূরত্ব। চায়ের দোকানগুলোতে জমজমাট আড্ডা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।
পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথা বলছেন কেউ কেউ। অপরদিকে নদীপথ ও যানবাহনে রাতের আধারে এখনো নারায়নগঞ্জ, ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে আসছে স্থানীয়রা। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে চরম হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার সাধারন মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, কার লকডাউন কে মানে? কাগজে কলমে লকডাউন বাস্তবে ঈদের আমেজ। প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বাউফলকে।
বাউফল প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি অতুল চন্দ্র পাল জানান, এ অবাধ চলাফেরার কারনে যদি দূর্যোগ নেমে আসে তার দায় কে নিবে? প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পুলিশ বিভাগ এবং যারা বাজারে আসবে প্রতেকেরই দ্বায়িত্ব আছে। আমরা যদি দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি তাহলে সবার জন্যই সুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে সংক্রমনের মাত্রা কমে আসবে, সবাই আমরা সুস্থ থাকব। সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিথি মেনেই যাতে মানুষ চলাচল করে সবার কাছে আমার এই অনুরোধ ।
এ বিষয়ে বাউফল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল মোঃ ফারুক হোসেন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার বিষয়ে জানান, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের র্ফোস সবসময় রেডি থাকে। কোথাও সমন্বয়হীনতার ঘাটতি নেই ।