আজ সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই নির্মম হত্যাকান্ডের কোনো সুরাহা হয়নি আজও।
আলোচিত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। চার্জশিট প্রদানের নামে দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারনে তিনি সে সময় সমালোচনার মুখে পড়েন। তার পরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এই হত্যাকান্ডের আট মাস পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই খুনে জড়িত হিসেবে আটজনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ার পর ডিবি ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলে হাই কোর্ট র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তারপর চার বছর গড়ালেও এখনও এই হত্যারকান্ডের কূল-কিনারা হয়নি, যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আসছেন সাংবাদিক সমাজসহ পরিবারের সদস্যরা।
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এ পর্যন্ত ৪৬ বার সময় নিয়েও প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিনকে তলব করেছে আদালত। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত বৃহস্পতিবারও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখনও আশাবাদী, যে কোন সময় র্যাব এটা উদঘাটন করবে এবং আপনাদের (সাংবাদিক) জানাতে পারবেন।’ এদিকে পাঁচ বছরেও সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের কোনো সুরাহা না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে এই দম্পতি হত্যাকান্ডের বার্ষিকীতে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। ১১টায় ডিআরইউ চত্বরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।