বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল বাবুগঞ্জ থানার কতিপয় পুলিশ অফিসারগন যেন অপরাধ উৎসবে মেতে উঠেছেন। এমনই অভিযোগ এলাকাবাসির। আর এই সব কর্মকান্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগিতা ছাড়া করা সম্ভব নয়। তেমনী অপরাধ বান্ধব এক ওসিকে পেয়ে তারা এখন বেজায় খুশি। থানার ওসি ঠিক থাকলে সব অপরাধই মাপ। নিরপরাধ ব্যাক্তিকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের মত ঘটনা এই ওসি আগেও বিভিন্ন থানায় থাকাকালে ঘটিয়েছিল। সেই কারনে তাকে সাসপেন্ড করা হলেও একই ধরনের অপরাধ প্রবনতা থেকে সে ফিরে আসেনি।
স্থানীয় প্রেসক্লাবগুলোর সাংবদিকদের একই ধরনের অভিযোগ। ওসির আশ্রায় প্রশয়ে আরেক অপরাধ গুরু হিসাবে পরিচিত এসআই আলমগীর রয়েছে ওসি মিজানুরের সাথে । এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করতে পারেনা। দীর্ঘ একযুগ ধরে আশেপাশের থানাগুলোতেই অবস্থান করায় সকল ধরনের অপরাধীদের সাথে মাখামাখি এত বেশী যা এখন মিজানুর রহমানের মত অপরাধ বান্ধব ওসির জন্য পোয়াবারো হয়েই দেখা দিয়েছে। ওসির এহেন ডেমকেয়ারের কারন স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় তার অপকর্মের বিষয় তুলে ধরলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
সুত্রমতে বরিশালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এম. জামাল হোসেন নামে এক সাংবাদিককে মারধর করে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে বাবুগঞ্জের থানা পুলিশ ও অসাধু ব্যবসায়ী ফিরোজ। এই সময়ে ঐ সাংবাদিকের সাথে থাকা নগদ নয় হাজার পাঁচশত ত্রিশ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একই সাথে পত্রিকার আই.ডি কার্ড ও ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি পতিক মোস্তফা ও সাধারন সম্পাদক রেদোয়ান রানা জানিয়েছেন, এম. জামাল হোসেন তাদের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জাতীয় দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চীফ ও বাংলা টিভির বরিশাল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তার পত্রিকার কর্তৃপক্ষ তাকে বরিশালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, মেয়াদ উত্তীর্ণ আটা-ময়দা দিয়ে কেক, রুটি, বিস্কুট তৈরীর কারখানার সচিত্র প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী ১৯/১০/২০১৯ তারিখ সকাল ১০ টায় বাবুগঞ্জ বাজার লাঘোয়া মধুবন বেকারীতে তথ্যের জন্য যায়। মধুবন বেকারীর মালিক ফিরোজ হাওলাদার তথ্য না দিয়ে স্থানীয় পুলিশ ও একটি অসাধূ চক্রদের খবর দিয়ে সাংবাদিক এম. জামাল ও তাহার ক্যামেরা ম্যানকে এবং তাদের সাথে থাকা আই.ডি কার্ড মারধর করে ছিড়ে ফেলে। একই সাথে দুই জনের পকেটে থাকা নয় হাজার পাঁচশত ত্রিশ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে সাংবাদিকরা আইনী সহযোগীতার জন্য বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে, মামলা না নিয়ে উল্টো মধুবন বেকারীর মালিক ফিরোজ কর্মচারী ও অসাধু চক্রের অন্যতম হোতা খোকন সহ অন্যান্যরা সাংবাদিক জামাল এর বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ সতের দিন জেল হাজত বাসের পর জামীনে মুক্তিপায় তারা। এদিকে ঘটনার সত্য সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন রকমের সাংবাদিকদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয় ওসি মিজানুর রহমান ও এস.আই আলমগীর। এই ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনী সহযোগীতা কামনা করছে ভুক্তোভোগীরা।