নিজস্ব প্রতিবেদক : মানসিক চাপে আত্মগোপনে যাওয়া এক ব্যবসায়ী অতঃপর রহস্যের জোট খুললেন তিনি নিজেই। ব্যবসায়ীর দাবি তাকে অপহরণ করা হয়েছে কিন্তু কারা অপহরণ করেছে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারেনি। এলাকার লোকেরা কানা ফুসফুসি করে যে সে নিজেই আত্মগোপনে গেছেন। আত্মগোপন না অপহরণ এই রহস্য উন্মোচন করতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মুখোমুখি প্রতিবেদক ও গোয়েন্দারা। তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী আবুল বরকত গোয়েন্দা ও সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, মানসিক চাপে আমি আমার নিজের ইচ্ছায় ঢাকা যাই পরদিন সকালে লক্ষ্মীবাজার থেকে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় সেখানে কোন টুটা শব্দ ছিল না নিরব ছিল। এরপর আমার আর কোন হুশ ছিল না পরে আমার জ্ঞান ফিরে আসলে আমি দেখি আমাকে লোকজনে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর মেডিকেলে ভর্তি করান সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।উল্লেখ্য, তিনি গত ৯ আগষ্ট নিখোঁজ হন। পরে স্ত্রী জোহরা লাইজু বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় পরের দিন ১০ আগষ্ট একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার ( নং ৫২৩) । জিডিতে তিনি উল্যেখ করেন তার স্বামী সৈয়দ মোঃ আবুল বরকত পিতা আবুল খায়ের মোঃ শফি উল্লাহ সাং দক্ষিণ আলেকান্দা সি এন্ড বি পোল মীরা বাড়ি বরিশাল। ৯ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ছেলের ঔষধ আনার জন্য তার স্বামী বরকত বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ১৬ আগষ্ট সকাল ৮ টার দিকে ব্র্যাক মোড় এলাকার বিশ্ব রোডের পাশে বরকতকে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এনে ভর্তি করেন। ভর্তি করার কয়েক ঘন্টা পর রোগীর কিছুটা চেতনা ফিরে আসে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া বরকতের ছবি দেখে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হাসপাতালে ছুটে আসেন তার বোন শায়লা যুথি ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন। ঝালকাঠি থানা পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল যান উদ্ধারস্থল পরিদর্শন করেন । পরে পুলিশ বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। সেখান থেকেও পুলিশ আসে, বরকতকে বিকালে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ আছেন। স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানাযায় বরকতের পিতা আবুল খায়ের মোঃ শফিউল্লাহ তার সম্পত্তি থেকে তার মেয়েদের নামে ১০ শতাংশ লিখে দেন। পিতার সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়। এছারা স্থানীয় দোকান দার ও পাওনাদারেরা তাকে তাদের টাকা পয়শার জন্য চাপ দিতে থাকে। তাই হয়তো সে আত্মগোপনে চলে গেয়েছিলো। পরবর্তীতে তার পিতা পাওনাদারদের পাওনা আংশিক পরিশোধ করায় সে ফিরে আসেন। অপর একটি সূত্রের দাবি,অপহরন বা গুমের ঘটনা সাজানো প্রতিপক্ষ কে ফাসানোর বহিঃপ্রকাশ। তার নিজের ইচ্ছায় ঢাকা গেলেন সেখান থেকে সে কিভাবে অফরণ হলেন আবার কিভাবে ফিরে আসলেন তা নিয়ে মানুষের মুখে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য তিনি কোন উপায় না পেয়ে এ পথ বেচে নিয়েছেন। তার স্ত্রী বলেন আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম তাই থানায় জিডি করছি। তবে সঠিক তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
