সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার রাজধানীর থানায় থানায় এবং সারাদেশের জেলা সদর ও মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত ৮ নভেম্বর মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল বিএনপি। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কোনো সায় দেয়নি। এর আগে ৭ অথবা ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। পুলিশ তখনও তাদের অনুমতি দেয়নি। নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতিও পায়নি তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল যারা পাঁচবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, সেই দল একটি জনসভার অনুমতি পায় না। আমরা সহজেই বুঝতে পারি, দেশে গণতন্ত্রের অবস্থা কোন জায়গায় এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমানে একদলের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। জনসভা করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আজকেতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে জনসভা বন্ধ করে দেয়া হয়নি। এখানে আইনের মধ্য থেকে জনসভা করার বিষয়ে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ আমার সাংবিধানিক যে অধিকার তা আজ লঙ্ঘন করা হচ্ছে। অবৈধ সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে এভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা দেশে এমন একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই, ন্যায় বিচার বলতে কিছু নেই। মানুষ এখন পুরোপুরিভাবে নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে আছে।
বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে সংলাপের বসতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বার বার বলেছি, যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা নিরসন করার জন্য সংলাপের প্রয়োজন আছে। সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। আবারো আমরা বলছি, সময় শেষ হওয়ার পূর্বে আপনাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হউক। আমরা আশা করি, আপনারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকটের সমাধান হবান নয়। এর কোনো বিকল্প পথ নাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্রকে পুরোপুরিভাবে কবর দেয়া হয়েছে। এখন চলছে মিলাদ মাহফিল কুলখানি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ সকাল থেকেই নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কাছাকাছি অবস্থানে প্রস্তুত রাখা হয় জলকামানের গাড়ি।
বিক্ষোভ সোমবার সারাদেশে,বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পায়নি
