বাউফল প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে মহাদুর্যোগ করোনা সংক্রামকে অসহায় মানুষের পাশে ধানাঢ্য ব্যক্তিদের ঘুম ভাঙ্গাতে এক ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছে আনোয়ার হোসেন নামের এক ফুটপাতে ফল বিক্রেতা। আজ সকালে পৌরশহরের মোহন লাল সাহা এবং স্বপন চন্দ্র সাহা নামের ‘দু-ধনাঢ্য ব্যক্তিকে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি তেল ১ কেজি লবন এবং ১টি সাবান সহায়তা প্রদান করেন। এ ঘটনা বাউফল পৌরশহরে ছড়িয়ে পড়লে নানা হাস্য-রসের সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, সারাদেশ ব্যাপি কোভিট ১৯ করোনা সংক্রামক থেকে দূরে রাখতে শ্রমজীবি কর্মমূখি মানুষ কার্যত ঘরবন্ধি হয়ে পড়ে। এতে বাউফলে প্রায় শতকড়া ৮০% লোক বেকার হয়ে পড়লে বাউফলের রাজনৈতিক, সামাজিক,সরকারী বেসকারী সংস্থা নানাভাবে কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়ালেও পৌর শহরের স্বপন সাহা এবং মোহন লাল সাহা ৩% সুদের ওপর বাড়িতে গদিখুলে ব্যবসা চালিয়ে যায় । অভিযোগ রয়েছে, পুরাতন শত শত লোকের কাছে বন্ধক রেখে ৩% সুদে টাকা দেয়। এই দঃসময়ে সোনা বন্ধকী মানুষকে মাসিক সুদের জন্যে তাড়া করে বেড়াচ্ছে । এমনকিএই সুদের টাকা না দিলে সুদের বিনিময়ে গচ্ছিত সোনা বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত তাদের গদিতে মানুষের ভিড় চললেও সুদের হারে কমতি নেই। এরা দুজনেই ধণাঢ্য ব্যক্তি বাউফল পৌরশহরের কোটি টাকার ব্যসা বাণিজ্য, ভারতে রয়েছে একাধিক বাড়ি। হোন্ডিসহ নানা কার্যক্রম করলেও সামাজিক কোন কাজে তাদের সম্পৃত্তা নেই বলে হিন্দুদের একাধিক সুত্র জানায় । এ বিয়য়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, বাউফলের বেশকিছু হিন্দু সম্প্রদায় সামাজিক কর্মকান্ডে নানাভাবে সহায়তা করলেও তাদের এ বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই বরং তারা করোনার মতো দুযোর্েেগ মানুষের পাশে দাড়ায়নি। তাই তাদের ঘুম ভাঙ্গাতে এ অভিনব পদ্ধতি তিনি গ্রহন করেছেন। যদি তারা মানুষের জন্য কিছু করেন। এ প্রসংঙ্গে হিন্দু বৈদ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, এতে যদি কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গে !
এ বিষয়ে মোহন লাল সাহা জানান, আমার বাপ দাদা সুধি ব্যাবসা করছে, সেই সুবাদে আমিও করি।আমার পৌরসভার লাইসেন্স আছে।
বাউফলে ধণাঢ্য ব্যাক্তির ঘুম ভাঙ্গাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এক ফল বিক্রেতার !
