এম.জামাল হোসেন,
ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত চিকিৎসক, সুইজ হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার দুপুরে বহিরাগত কতিপয় সংবাদকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালের গুনকীর্তন করে সংবাদ প্রকাশের জন্য সভার নামে ভুড়িভোজ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জেলার গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি সুইজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আকন আজাদ, তার বাংলাদেশী দ্বিতীয় স্ত্রী টেকনোলজিষ্ট রুপা বেগম ও কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আকন চিকিৎসার নামে এলাকার সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে কথিত চিকিৎসক ডাঃ রাজিয়া সুলতানার মাধ্যমে সির্জারিয়ান অপারেশন করিয়ে আসছে। ওই চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় উপজেলার অন্যান্য ক্লিনিকে একাধিক শিশু মারা যায়। সূত্রমতে, গত ৩০ নভেম্বর ডাঃ রাজিয়ার ভুল চিকিৎসায় সুইজ হাসপাতালে এক নবজাতক শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় মৃত নবজাতকের পিতা মাসুম হাওলাদার বাদি হয়ে বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চিকিৎসক রাজিয়া সুলতানা, সুইজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আকন আজাদ, তার বাংলাদেশী দ্বিতীয় স্ত্রী হাসপাতালের টেকনোলজিষ্ট রুপা বেগম, কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আকনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ শিহাবুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জনকে তদন্ত পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে প্রাথমিক তদন্তে মামলার বাদির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যথাসময়ে তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তদন্তকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন, জেনারেল হাসপাতালের গাইনী এবং শিশু কন্সালন্টেনসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। অপরদিকে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কৌশলে শুক্রবার দুপুরে বহিরাগত কতিপয় সংবাদকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালের গুনকীর্তন করে সংবাদ প্রকাশের জন্য সভার নামে ভুড়িভোজ করেছেন।
গৌরনদীতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু
