বরিশাল অফিস ঃ নগরীর এফ আর মেডিসিনের মালিক জনি’র বিরুদ্ধে জামায়াত কে অর্থ সহায়তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই অর্থের বিনিময়ে জামায়াত নেতাদের পাশে রেখে তাদের পরামর্শে জমি দখলের মিশনে নেমেছে তিনি।সম্প্রতি নিজ ঔষধ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দেয়ার বাহানায় বিধবা এক নারীর স্ট্রল ঘর ভাড়া নিয়ে জামাতের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘ দিন কোন ভাড়া পরিশোধ না করে স্ট্রলটি হাতিয়ে নেবার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরীর পদ্মাবতী চকবাজার এলাকার মৃত ফারুক হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নেয়া ভাটার খাল বান্দ রোড় সংলগ্ন স্ট্রলটির ভাড়া দিয়ে কোন রকম সংসার চালায়।কয়েক বছর পূর্বে বিভিন্ন প্রলোভন ও ছল চাতুড়ী করে নগরীর ক্লাব রোড এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে জামাত সংগঠন কে অর্থ দাতা ইয়াসিন মোস্তফা জনি ফার্মেসী দেবার জন্য তার কাছ থেকে স্ট্রলটি ভাড়ায় নেয়।কয়েক মাস ঠিকঠাক মত ভাড়া পরিশোধ করলেও হঠাৎই ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দিয়ে ক্ষমতার দাপটে জোড় পূর্বক দখল করার পায়তারা চালায়। এ মূত অবস্থায় বরিশাল জেলা পরিষদ কতৃক দেয়া প্রকৃত ইজারাদার বিধবা নারী তার স্ট্রলটির অবৈধ দখল দারকে উচ্ছেদ করার জন্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বরাবর আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গত ১৭ই জুলাই অবৈধ ভাবে স্ট্রলটি দখল দ্বার ইয়াসিন মোস্তফা জনিকে নোটিশ দেয়া হয় ২০ জুলাইর মধ্যে জেলা পরিষদের প্রকৃত ইজারাদার নাজমা বেগম কে স্ট্রলটি ফিরিয়ে দেবার জন্য।কিন্তু নোটিশ পেয়ে জনি জামাতি অর্থ কানেকশনের মত জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কে অবৈধ টাকা দিয়ে নিজ দিকে বাগিয়ে এনে বস করে তাকে।নোটিশের সময় সীমা পার হলেও জেলা পরিষদ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করাতে স্পষ্ট হয়ে গেছে প্রধান নির্বাহী সেই টাকায় অন্ধ হয়ে জামাতের পথে হেটে অসহায় বিধবা নারীর পরিবারের পেটে লাথি দিয়ে স্ট্রল ঘরটি জনিকে দখলে রাখার পথ পরিস্কার করে দেয়। এ প্রতিকূলে জামাতের অর্থদানকারী জনি স্ট্রলটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। জানা গেছে বরিশাল নগরীর অনেক নামী দামী জামাত ঘেষা প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা তুলে বরিশাল বিভাগীয় জামায়াত সংগঠনটি পুনরায় চাঙ্গা করতে নেতাদের কাছে পৌছে দেবার কাজ করে জনি। জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনটি পূনরায় সুসংগঠিত করতে জনি এখন জামাতের অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে টাকা কামানোর নেশায় অনৈতিক কর্মকান্ডে নগ্ন মাতাল অবস্থা প্রায়।অবৈধ টাকার গরমে তার এখন আঙুল ফুলে কলা গাছ, তার উপর জামাত শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদ থাকায় তাকে দমাতে যেন কেউ সাহস করছে করছে না।তার বিরুদ্ধে মূখ খুলতেও ভয় পাচ্ছে ভূক্ত ভোগী অনেকে।এদিকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জামাত কে অর্থদাতা জনির সাথে তার জামায়িতের পথে হাটার ব্যাপার টি অস্বীকার করে জানান,নতুন জেলা প্রশাষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন ভূলু স্যারের যোগদানের আনুষ্ঠিকতার ব্যাস্ততার কারনে নির্দেশ অমান্ন কারীর ব্যাবস্থা করতে পারে নি।তবে অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।অপরদিকে অভিযুক্ত ইয়াসিন মোস্তফা জনির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যস্ততার কারনে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি। অভিযোগ কারী নাজমা বেগম তার পরিবারকে হুমকি প্রদান কারী তার লীজ নেয়া জেলা পরিষদ থেকে স্ট্রলটি জবর দখল কারী জনির অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানায় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের।
ঔষধ ব্যবসার আড়ালে জামাতি নেতাদের অর্থ দিচ্ছে জনি
