গত ১৩ ডিসেম্বর জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার একটি দোকান থেকে ৪৫টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে যায়।
শুক্রবার ভোররাতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শাহীভাগ এলাকা থেকে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকা আল আমীন ও তার ছোট ভাই ফয়সল মিয়াকে (২১) আটক করে।
চুরির এ ঘটনায় দোকানের মালিক মহসিন মিয়া ১৫ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ চুরির মামলামাল উদ্ধার কিংবা চোর শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশ মাত্র একদিনের মাথায়ই চোর ধরতে ও চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে সক্ষম হয়।
আটকের পর তাদের কাছ থেকে ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। বাকি মোবাইল ফোন তারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বলে পুলিশকে জানায়।
দুপুরে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আল আমীন বলেন, আমার স্ত্রী গর্ভবতী। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। সে টাকা জোগাড় করতেই আমি বাধ্য হয়ে এই চুরি করি। চুরির কাজে আমার ছোট ভাই ফয়সল মিয়া আমাকে সহযোগিতা করেছে।
আটক আল আমীন ও ফয়সাল হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের খালেক বাবুর্চির ছেলে।