মোঃ বশির আহাম্মেদ ঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সকলের প্রিয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায়, সকলের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ চেয়েছেন।
দেশে করোনা অক্রমনের প্রথম দিন থেকেই সন্মুখ যোদ্ধা হয়ে কাজ করেছেন মানুষের জন্য।
দিনের বেলায় যখন বাকেরগঞ্জ সদরে জনশূণ্যতায় চলতে ভয় করত, সেই সময়ে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে, বাসায় অবুজ শিশু রেখে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন মানুষের সেবায়।
সরকারের একজন দায়িীত্ববান কর্মকর্তা হলেও তার রয়েছে ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবন, অন্য দশ জনের মতো সংসার, আছে ফুট-ফুটে দুটো সন্তান। কিন্ত কর্ম এরং দায়ীত্বের কারনে সেই সব ভুলে তাকে মাঠে থাকতে হয়েছে সবসময়। শুধু দায়ীত্বই নয়, মানবতার টানেই মাধবী রায় করোনার এই দূঃসময়ে মানুষের পাশে থেকেছেন। এসব কাজে তার সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন আরেক সৈনিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারিকুল ইসলাম। তাদের মানবিকতায় ধন্য হয়েছে বাকেরগঞ্জের মানুষ। করোনা সংকটে দিনরাত মাঠে থেকে কাজ করেছেন এই দুই কর্মকর্তা। এমনকি আম্পানের রাতের তারা ছিলেন মানুষের পাশে।
মানুষকে সচেতন করতে করতে দূর্ভাগ্য জনিত কারনে মাধবী রায় গত ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
এর পর থেকে তিনি বাকেরগঞ্জে সরকারী বাসভবনে থেকে ডাঃ এর পরামর্শ মতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দিনশেষে উপজেলার এই প্রধান কর্মকর্তা যখন ঘরে ফিরেন তখন তিনি তার সন্তানের কাছে ”স্যার” নয়, শুধুই একজন মমতাময়ী মা, আর একজন মা’ই জানে অবুজ শিশুকে আলাদা রাখার কষ্ট। আজ সূবর্ণ টিভিকে সেই কষ্টের কথা মুঠোফোনে ব্যক্ত করেন মাধবী রায়। এসময় তিনি বলেন বাচ্চাদের আলাদা রেখেছি, ওরা মা-মা বলে কাঁদছে, এটা খুবই বেদনাদায়ক। আমার জন্য ও আমার অবুজ সন্তানদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
তার বিনয়ী আচরণ, নিজ দপ্তর সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া এবং সরকারের দায়ীত্ব যথাযথভাবে পালন করে সকলের ভালবাসা আর সম্মানের শীর্ষস্থান অর্জণ করে নিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার রোগ মুক্তি কামনা করছি। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবেন এমনটাই প্রত্যাশা।