রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে স্বাভাবিক রয়েছে শীতকালীন সবজির বাজার। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে ২৭ টাকা হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ২২ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নতুন বাজার ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী হাসমত আলী বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ২২ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু গত চারদিনে আগের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এর কারণ জেলাগুলো থেকে হঠাৎ পেঁয়াজ কম আসছে। তবে জেলা থেকে আবার বেশি পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে।
কারওয়ান বাজারে দেশি রসুন ১১৫ টাকা, চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কালো বেগুন ৬০ টাকা, সাদা বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, টেমেটো ৫০ টাকা, শশা ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ১৫ টাকা, চাল কুমড়া ১৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা এবং শালগম ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পটল ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৫০-৫০ টাকা, কাকরোল ৪৫ টাকা, কচুরমুখী ৪৫ টাকা, আলু ১৫ টাকা এবং পেঁপে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, লেবু হালি প্রতি ১৫-২৫ টাকা, আটি প্রতি পালং শাক ১০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা সাজ্জাতুল আহাদ বলেন, সবজির বাজার আগের মতোই আছে। তবে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়ে গেছে। এটা কিভাবে মেনে নেওয়া যায়। গত রোববারও তিনি পেঁয়াজ কিনেছেন ২২ টাকায় আর শুক্রবার আজ পেঁয়াজের দাম ২৭ টাকা। এটা একটু বেশিই হয়ে যায়। এছাড়া আমাদের বাজার তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই। যদি থাকতো তাহলে কিভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বাড়ে। অন্যদিকে, মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১০৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৫ লিটারের বোতল ব্রান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। ভারতীয় মসুর ডাল ১১৫ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১২০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১১০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে। স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা, পারিজা চাল ৪১ টাকা, মিনিকেট ৫০ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৪২-৪৪ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৪২-৪৮ টাকা, বাসমতি চাল ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ চাল ৭৪-৭৬ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ও চাষের কৈ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।