পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর এখন এই প্রকল্পের কাজের ক্ষতিপূরণ বাবদ এক বিলিয়ন ডলার মঞ্জুরী হিসেবে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দল। গতকাল বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি তুলে ধরেন জোটের মূখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, তিন বছর আগে বিশ্ব ব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ায় জাতির কাছে আমরা অসম্মানিত হয়েছিলাম, আমাদের সারা বিশ্বের কাছে ছোট করা হয়েছিল। আমরা তৎকালীন সময়ে করা অভিযোগ এখন কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের তৎকালীন স্বিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই। আমরা এখন তাদের জবাব জানতে চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, পাশাপাশি পদ্মা সেতু থেকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অর্থায়ন ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে কাজের বিলম্বসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। পদ্মায় এই কাজের ক্ষতিপূরণ বাবদ এক বিলিয়ন ডলার মঞ্জুরী হিসেবে আমাদের দিতে হবে। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মূল হোতা দাবি করে ১৪ দলের মূখপাত্র বলেন, পদ্মা সেতুসহ দেশ বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের নাটের গুরু ড. ইউনুস। তিনি বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক প্রভাব খাটিয়ে, লবিষ্ট নিয়োগ করে দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন। এই ভাবে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ প্রতিহত করার জন্যই তিনি কাজ করে গেছেন। তাই ইউনূসসহ ষড়যন্ত্রকারিদের জাতীয় সংসদে হাজির করতে হবে। এর জন্য আমি স্পিকারকে অনুরুধ জানাবো।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দাবি অনুযায়ী পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তৎকালীন সময়ে অভিযুক্তদের স্ব-পদে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, এই প্রস্তাবের জন্য ওনাকে ধন্যবাদ। এর আগে মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদি দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, কমউনিষ্ট কেন্দ্রের অশিত বরুন রায় প্রমুখ।