বরিশাল ব্যুরো : পরকীয়া প্রেমে বাধা এবং যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছে বরিশালে কর্মরত আনিছুর রহমান নামে এক পুলিশ কনষ্টেবল (ক:ন-৯৯৭)। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা করা হয়েছে। একইসাথে বিষয়টি ডিআইজির কাছে বিচার চাওয়ায় নিজের দু’মাস বয়সী শিশু সন্তানকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে ওই পুলিশ কনষ্টেবল। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তারা একাধিকবার বৈঠকে বসলেও কোন সুরাহা মিলেনি। শেষ পর্যন্ত মামলায় রুপ নিয়েছে। যেকোন সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলা সূত্রে জানা যায়,বরিশাল বিভাগের ভোলা সদর থানায় পুলিশ কনষ্টেবল পদে বর্তমানে কর্মরত আছে আনিছুর রহমান (গ্রামের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ)। সেই সূত্রে স্ত্রী সুমি আক্তারকে নিয়ে ভোলা অফিসার্স পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বামী পরিত্যাক্তা বাসার মালিক মরিয়ম বেগমের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে আনিছুর রহমান। বিষয়টি সুমি আক্তার বারন করলে ডিভোর্স দেয়া হয়েছে বলে বাসা থেকে দুই মাস বয়সী শিশুসহ তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি লিখিত ভাবে ডিআইজি ও ভোলা পুলিশ সুপার’র কাছে জানানো হলে ক্ষিপ্ত হয়ে; নিজেরা মিমাংসার কথা বলে স্ত্রী সুমি আক্তারকে (গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ বিকেল তিনটার দিকে) বরিশাল নিয়ে এসে কুপিয়ে আহত করে পুলিশ কনষ্টেবল আনিছুর রহমান। খুন করার উদ্দেশ্যেই গলার ওপর কোপানো দেওয়া হয়েছে বলে সুমি আক্তার মিডিয়ার কাছে তথ্য দেন। এ ঘটনায় সুমি আক্তার নিজেই বাধী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা (মা:নং-১২) দায়ের করেন। অন্যদিকে মামলার ঘটনা জানতে পেরে শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ভূক্তভোগি এ ভূক্তভোগি নারী। ভোলা সদর সার্কেল এসপি মহসিন আলী ফারুক জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে অভিযোগ সত্য হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। ভোলা সদর থানার ওসি জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য এ্যাডিশনাল ডিআইজি স্যারও বলেছিলেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রোজিনা বেগম জানান, যেহেতু সে খুনের উদ্দেশ্যে একজন নারীকে কুপিয়েছে সেহেতু তাকে যে কোন সময় গ্রেফতার করতে পারি। অন্যদিকে বরিশাল ডিআইজি ফোন রিসিভ না করায় তার কাছ থেকে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।