সম্প্রতি সুন্দরবনের বড় কয়েকটি দস্যু বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছে।
র্যাবের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে তারা। এই সুযোগে নতুন করে কয়েকটি বাহিনী ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত মুক্তিপণ আদায় ও মুক্তিপণের জন্য নিরীহ জেলেদের অপহরণ করে চলেছে।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির নতুন বাহিনীর বেপরোয়া হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তারা প্রতিনিয়ত মুক্তিপণ আদায় ও মুক্তিপণের জন্য নিরীহ জেলেদের অপহরণ করে চলেছে।
অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও ওই সকল দস্যু বাহিনীকে আটকের জন্য বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের সফলতা না আসা পর্যন্ত পুরো সুন্দরবনে চলবে এ অভিযান।
জেলে-মহাজন সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক জেলেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপরহণ করেছে দস্যুরা। বনদস্যু জাহাঙ্গীর, সাগর, বাকীবিল্লাহ ওরফে নোয়া ও আলিফ বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে গত দুই সপ্তাহে দেড় শতাধিক জেলেকে অপহরণ করেছে। এর মধ্যে কিছু জেলেকে মুক্তিপণ দিয়ে স্ব-স্ব মহাজনরা ছাড়িয়ে আনলেও বেশিরভাব জেলেই রয়ে গেছে দস্যুদের জিম্মায়।