তালাকের নোটিশ ফাঁস হওয়ায় আইনজীবীর ওপর ক্ষেপেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর।
শাবনূর বলেন, কোনোভাবেই কারও অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ করতে পারেন না। আমি আমার আইনজীবীকে প্রশ্ন করলাম তিনি কেন এটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন। তিনি এ বিষয়ে কিছুই বললেন না। তিনি দাবি করেন, বিচ্ছেদের বিষয়ে তিনি কাউকে কোনো ধরনের তথ্য দেননি।
এবিষয়ে শাবনূরের আইনজীবী কাওসার আহমেদ জানান, শাবনূরের তালাকের নোটিশ জনসমক্ষে প্রকাশ তিনি করেন নি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এ রকমের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা? তখন তিনি হ্যাঁ বলেছেন। তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে তিনি কাউকে কোনো ধরনের তথ্য দেননি বলেও জানান।
নোটিশ পাঠানোর কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করে শাবনূর বলেন, কি হচ্ছে-না-হচ্ছে এটি বলার তো আমি কেউ না। স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা একেবারে গোপনে করতে চেয়েছিলাম। তবে আইনজীবীর জন্য আমার দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু থাকছে না।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, আমার বিচ্ছেদ একান্তই আমার ব্যক্তিগত। এটা নিয়ে কেউ কথা না বললেই ভীষণ খুশি হব। তাই বিষয়টার আইনগত সমাধান চেয়ে আইনজীবীর দ্বারস্থ হই।
গত ২৬ জানুয়ারিমাসে নিজের স্বাক্ষরসহ বিচ্ছেদপত্র অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামী অনিককে পাঠান তিনি। সব সময় মদ্যপ থাকার কারণে স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না অনিক। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একাকী জীবনে ঠিকমতো শাবনূরের যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। এমন অভিযোগ এনে তালাক দেন শাবনূর।
এরআগে ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে নিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর।