রিজার্ভের অর্থ দিয়ে ১০ বিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল’ গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে এ তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তহবিল গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদেশি রিজার্ভ কাজে লাগানোর চিন্তা থেকে এ তহবিল করা হচ্ছে। এর অনুমোদিত মূলধন হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে এটা শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ যদি ৩০ থেকে ৩২ বিলিয়ন ডলার হয় সেখান থেকে আমরা যদি ২ বিলিয়ন ডলার নিই তবে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আমাদের অর্থনীতিতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। বছরে ২ বিলিয়ন ডলার করে ৫ বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার সংস্থান করা হবে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের তহবিল আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা (তহবিল) আমাদের প্রয়োজন হয় যখন আমরা বিদেশিদের সঙ্গে ম্যাচিং ফান্ড করি, আমাদের ডলার দিতে হয়। জেডিসিএফ (জাপানি ঋণ মওকুফ সহায়তা তহবিল), ইসিএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বর্ধিত ঋণ সহায়তা) বা কোনো বিদেশি ব্যাংক আমাদের লোন দিল, বলা হলো ওটার সঙ্গে সরকার সমপরিমাণ ডলার দেবে। তখন এটার সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমাদের কোনো ব্যবস্থা থাকে না।
শফিউল আলম বলেন, যদি এটা হয় আমাদের জন্য সুবিধা হবে যে, আমরা এখন থেকে টাকাটা পুনর্ভরণ করতে পারব।
তিনি বলেন, এ তহবিলের বহুমুখী ব্যবহার হতে পারে। সরকার জনস্বার্থে যেকোনো বিনিয়োগে ব্যবহার করতে পারবে। এটা থেকে অবকাঠামো নির্মাণও করা যাবে। সব ইমার্জেন্সিও মিট আপ করতে পারব।’
তহবিলের বিস্তারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিগত সম্মতির পর এটার ওপর আইন তৈরি করে কাঠামো তৈরি হবে, তখন এটা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। তখন এটার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।